বিশ্বের সব প্রান্তে বাঙ্গালীর বসবাস। বিশ্বের দেশে দেশে বাংলা ভাষাভাষীরা অবস্থান করে আসছে। বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ তাই কেবল বাংলাদেশে পালনে সীমাবদ্ধ ছিলো না বিশ্বের সব প্রান্তে অর্থাৎ যে সকল দেশে বাঙ্গালীর বসবাস সেই সকল দেশে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। আমাদের দেশের বাস্তবতায় বাংলা নববর্ষ ছিল বিশেষ উৎসাহিত আর উচ্ছাসে ভরা। বাঙ্গালী সংস্কৃতি আর বাঙ্গালী পনায় মেতে উঠেছিল বাংলাদেশীরা। রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের পাশাপাশি যে যে ভাবে পেরেছে সে সেই ভাবে বর্ষবরন করেছে অর্থাৎ নববর্ষ পালন করেছে। বৈশাখ বাঙ্গালী জীবনে, বাঙ্গালী অন্তরে বিশেষ ছোয়া অঙ্কন করেছে। হাজারো বছরের বাঙ্গালী পনায় বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বিশেষ অবগহন পহেলা বৈশাখ সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনা নিয়েই আমাদের জীবন আর জীবনের জয়গান গেয়ে চলেছে বৈশাখ। হাজারো বছর যাবৎ পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে বিশেষ ভাবে মিশ্রিত, আর এই মিশ্রনের ফলে বাঙ্গালীর অন্তঃকরনে বিশেষ আকর্ষনের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দেশের সর্বত্র ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ, চারিদিকে আনন্দ স্রোতের বহতা। বাঙ্গালী মিলে মিশে একাকার হয়েছিল, পুরাতনকে বিদায় করে, নতুনকে সম্মুখ পানে এনে, সব ধরনের বিরোধ এবং বিভেদ ভুলে একে অন্যের প্রতি সহনশীল আর সহযোগীতার ক্ষেত্র স¤প্রসারিত করেছে। পহেলা বৈশাখের আনন্দ উৎসব এবং একাগ্রতা সারা বছরই জনমনে জাগ্রত একে অপরের প্রতি সহযোগিতা আর ভালবাসার যে ক্ষেত্র নিশ্চিত করেছে তা যেন চির অমলিন, চির জাগরুক থাকে। আগামী দিনে অর্থাৎ আগামী বছর আবারও ভালবাসা আর সহযোগিতার বন্ধন নিয়ে উপস্থিত হবে পহেলা বৈশাখ।