দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ বারবার আক্রান্তহয়েছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দূর্বিপাকে। এমনই এক ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সম্মুখপানে। দিকে দিকে অজানা আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিহত করার সুযোগ বা সাধ্য না থাকলেও মোকাবেলা করা কোন অবস্থাতেই কঠিন নয়। আর তাই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্ক নয়, প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক হতে হবে, সাবধানতা অবলম্বনই হবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করার উপযুক্ত মাধ্যম। বরাবরই উপকূলীয় জেলা হিসেবে সাতক্ষীরা ঝুঁকিতে থাকে এবং যখনই কোন ঘূর্ণিঝড় বা জ্বলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকায় হানা দেয় তখন সাতক্ষীরা থাকে। জেলার কেবল শ্যামনগর নয় আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ সহ অপরাপর উপজেলাগুলো বিপদ সংকেতের বাইরে নয়। নিকট অতীতের আইলা এবং সিডর এর ন্যায় জ্বলোচ্ছ্বাসে যথাযথ প্রস্তুতি আর সতর্কতার কারনে জীবনহানি বা ক্ষয়ক্ষতি তেমন ছিল না। আবহাওয়ার খবরে বলা হয়েছে আজ সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। অনেকে মনে করছেন জ্বলোচ্ছ্বাস বা ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যায় আঘাত করার সম্ভাবনা বিধায় আশ্রয় কেন্দ্র বা নিরাপদ স্থানে বিকালে যাব, এমন ভাবনা বা ইচ্ছা নয়, সকাল বেলাতেই ১০/১১টার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহন করুন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আশ্রয় গ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় রাত ১০টা ৭নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তরের খবর। জেলায় বিপুল সংখ্যক সাইক্লোন সেন্টার এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত। কোন ধরনের অবহেলা বা অসতর্কতা নয়, দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়, প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা, ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছ্বাস কতটুকু নির্মম হতে পারে তা অতীতে দেখা গেছে। তাই কোন ধরনের কালবিলম্ব না করে বেলা ১১টার মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র, সাইক্লোন সেন্টার এবং নিকটস্থ নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় আমরা আমাদের সতর্ক করি এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিই। নিরাপদ স্থানে অর্থাৎ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান না নিলে জীবন বিপন্ন হতে পারে।