এফএনএস লাইফস্টাইল : অন্যের নাক ভালো আর নিজের নাক বোঁচা এই ধরনের হীনম্মন্যতায় ভোগেণ অনেকেই। তবে সঠিক নিয়মে মেইকআপ ব্যবহারে ম্যাজিকের মতো বদলে দিতে পারে নাকের আকৃতী। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ওম্যান’স ওয়ার্ল্ডয়ের রূপ বিশেষজ্ঞ কনা আলম। নাকের সঠিক গড়ন হল নাকের ডগার সঙ্গে কানের লতির একটা সামঞ্জস্যতা থাকবে। আর চোখের দৈর্ঘ্য ও নাকের দৈর্ঘ্য এক হবে। বোঁচা নাক হলে নাকের দুই ধারে গাঢ় শেইডয়ের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নাকের মাঝের অংশে ন্যাচারাল শেইডের ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। বোঁচা কিংবা বাঁকা নাকের সমস্যায় নাকের দুই ধারে গাঢ় শেইডয়ের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নাকের মাঝের অংশ থেকে ডগা অবধি হালকা শেইডয়ের ফাউন্ডেশন লাগাতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন গাঢ় রংয়ের ফাউন্ডেশন কোনভাবেই নাকের উপরের অংশে না আসে। নাকের ডগা থেকে নিচ পর্যন্ত গাঢ় শেইডয়ের ফাউন্ডেশন ভি আকারে ছড়িয়ে দিন। হালকা ও গাঢ় রংয়ের ব্লাশঅনের সাহায্যেও নাকের শেইপ ঠিক করা সম্ভব। ক্রটিহীন নাকে একটু গাঢ় বাদামি কিংবা স্বাভাবিক বাদামি রংয়ের ব্লাশঅন ব্রাশে নিয়ে নাকের দুই পাশে ঘষে দিলেই নাকের আকার ঠিক হবে। বেশি খাড়া নাকের জন্য অপেক্ষাকৃত গাঢ় ফাউন্ডেশন নাকের উপরে দিতে হবে। রোগ-বালাই : মুখের সৌন্দযের্র অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে নাক। এই অঙ্গ নানাভাবে নানান রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন ব্রণ, মেসতা, ঘামাচি, আঁচিল, তিল ইত্যাদি। এসব সমস্যা থেকে নাক রক্ষা করতে ঘরোয়া যতেœর পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে ঘরোয়া উপদান দিয়ে রূপচর্চার মাধ্যমে নাকের কিছু সমস্যা সমাধান করা যায়। ব্রণ: মুখে হওয়ার পাশাপাশি ব্রণ নাকের উপরেও প্রভাব বিস্তার করে। হালকা সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ত্বক তেলমুক্ত রাখা উচিত। অতিরিক্ত সূর্যালোক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। ব্রণ খুটলে ত্বকে দাগ বা ক্ষত হতে পারে। এসব ত্বকে তৈলাক্ত কসমেটিক ব্যবহার না করাই ভালো। মেসতা: বিশেষজ্ঞদের মতে সূযের্র অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব হরমোনজনিত সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে স্টরয়েডজাতীয় ওষুধ খাওয়া ও জেনেটিক কারণে মেসতা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আঁচিল: নাকে আঁচিল অনেকেরই সমস্যা। এটা সারাতে ডাক্তারের পরমর্শ নেওয়া দরকার। নাকের পলিপ: নাকের ভিতরের বাড়তি মাংসপিন্ড দেখা দিলে তাকে পলিপ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন গাছ-গাছড়ার চিকিৎসায় ভালো হয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা করানো উচিত।