জিএম আল ফারুক/এমএম নুর আলম ঃ আশাশুনিতে বিন¤্র শ্রদ্ধায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’২১ পালিত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে আশাশুনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। শুরুতেই পুষ্প মাল্য অর্পন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবিরের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও সেক্রেটারী শম্ভুজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন, স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সুদেষ্ণা সরকারের নেতৃত্বে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সভাপতি জিএম আল ফারুক ও সেক্রেটারী সমীর রায়ের নেতৃত্বে আশাশুনি প্রেসক্লাব, এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মাল্য প্রদান করেন। সূর্য্যদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস, রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীরা জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকালে স্মৃতিসৌধ চত্ত¡রে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) শাহিন সুলতানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলহাজ¦ রুহুল আমিন, আ’লীগ নেতা মোল্যা রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার কচি প্রমুখ। তবে রাত ১২.০১ মিনিটে মাল্য দানের সময় চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। এসময় পুষ্প্য মাল্য দিতে আসা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন চরম অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকি জাতীয় পতাকা এক হাত লম্বা ও দেড় হাত লাঠিতে বেঁধে বাঁকা করে আশাশুনি সদর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে টাঙাতে দেখা গেছে। গভীর রাত পর্যন্তও অনেকের দোকানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত ছিল। সুধী সমাজ জাতীয় পতাকার অবমাননা দেখে হতাশ হয়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন এমনটি প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।