যাতায়াত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাই দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা উন্নত এবং আধুনিক। আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো উন্নত এবং আধুনিক বলা যায় বিশ্বমানের। আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো উন্নত, আধুনিক এবং বিশ্ব মানের হলেও থেমে নেই সড়ক দূর্ঘটনা। প্রতিদিনই দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে ঘটছে দূর্ঘটনা। একদিকে সড়কে সড়কে লাশ, রক্ত আর আহতদের আত্মচিৎকার ঘর হতে সুস্থ শরীরে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষটি নিরাপদে এবং সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরতে পারবে এমন নিশ্চয়তা শুন্যের কোঠায়। দেশের সড়ক ও মহাসড়ক এবং অভ্যন্তরীন সংযোগ সড়ক গুলোতে থেমে নেই দূর্ঘটনা। দেশের সর্বত্র ঘটছে দূর্ঘটনা আর এ জন্য বলা যায় সড়ক দূর্ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যাকে মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের দেশে দেশে লাল সবুজের বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প আলোয় উদ্ভাসিত। বিশ্বময় আমাদের আলোকিত অবস্থান কে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলছে সড়ক দূর্ঘটনা। সড়কে সড়কে দূর্ঘটনার মহাযাত্রা দেশবাসিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বাংলাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা উন্নত এবং আধুনিক সেই সাথে বিশ্বমানেরও বটে কিন্তু কেন সড়কে সড়কে দূর্ঘটনা। যে পরিবারের কোন সদস্য সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে বা আহত হয় সেই পরিবারই অনুভব করতে সক্ষম হয় সড়ক দূর্ঘটনা কতটুকু মর্মান্তিক এবং বেদনা দায়ক। সড়ক ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিমত সড়ক এর জন্য নয়, অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালনা অর্থাৎ নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যানবাহন পরিচালনা করাই দূর্ঘটনার অন্যতম কারন। অপেক্ষাকৃত কম গতিতে যানবাহন পরিচালনা করাই দূর্ঘটনার অন্যতম কারন, অপেক্ষাকৃত কম গতিতে যানবাহন চালনা করলে উক্ত যানবাহন অতি সহজেই নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব, অন্যদিকে নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যানবাহন চালনা করলে তা নিয়ন্ত্রনে আনা অসম্ভব তথা ঝুকিপূর্ণ বিধায় যানবাহন কম গতিতে চালনা করাই দূর্ঘটনা রোধ সহায়ক।