এ্যাড: তপন কুমার দাস \ কলারোয়ার খলসী গ্রামের নিষ্ঠুরতার চার হত্যা মামলার বিচার কার্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশব্যাপী আলোচিত, চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক, বর্বরতায় পূর্ণতা পাওয়া চার হত্যা মামলার বিচার কার্য চলছে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে। হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী রায়হানুর রহমানের উপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা করছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল অষ্টম দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শফিকুল ইসলামের জবানবন্দি ও জেরা আসামীর উপস্থিতিতে সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বারজন সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই মার্চ পরবর্তী সাক্ষীর জন্য বিজ্ঞ আদালত দিন ধার্য করেছে। প্রসঙ্গত সহদর রায়হানুর রহমান নিজ হাতে নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে বর্বরতাকে সঙ্গী করে ভাই শাহিন গাজী, ভাবী সাবিনা ইয়াসমিন সহ শিশু ভাইপো ও ভাইজিকে হত্যা করে, হাজার হাজার মানুষ শোকাহত হয় উক্ত হত্যাকান্ডে। দেশব্যাপী লোমহর্ষক চারহত্যা কান্ডের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তীর দাবী সময়ের দাবীতে পরিনত হয়। হত্যাকান্ডের নির্মমতা, ভয়াবহতা নিষ্ঠুরতা প্রত্যক্ষ করে শত শত মানব সন্তান চোখের পানি ফেলেছে। চাচা রায়হানুর রহমানের নিষ্ঠুরতা হতে রক্ষা পাইনি অবুঝ নিষ্পাপ দুই শিশু, হত্যাকান্ডের পর পুলিশ রায়হানুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিলাস চন্দ্র মন্ডলের কাছে ফৌজধারি কার্য বিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবনাবন্দী প্রদান করে। বর্তমানে বিচারকার্য চলছে মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সহ সাধারণ মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার ঘটেছে দ্রুত বিচার কার্য চলমান থাকায়, মামলার ধার্য দিনগুলোতে নারকীয় এই হত্যা মামলার কার্যক্রম দেখতে বিজ্ঞ আদালত চত্বরে, এবং এজলাশের আশপাশে সাধারন মানুষের উপস্থিতি ঘটে। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে, মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, আসামী পক্ষ, রাষ্ট্র পক্ষের বক্তব্য, যুক্তি তর্ক, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, জবানবন্দী, জেলা সম্পন্ন করছেন, আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে এ্যাড: ফরহাদ হোসেন ও এ্যাড: মুস্তাফিজুর রহমান জগলু ও রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করছেন পিপি এ্যাড: আব্দুল লতিফ।