মহামারী করোনায় আক্রান্ত দেশ। বিশ্বের দেশে দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে মানব সন্তানের প্রাণ যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বর্তমান সময়ে করোনা এক অসহনীয় আর অসনী সংকেত বিরাজ করছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে বিষয়টি বর্তমান সময়ে আলোচনায় তা হলো দেশবাসি চরম অস্বস্থিকর পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে বারবার বলা হচ্ছে মহামারী করোনা ভাইরাসের সর্বাপেক্ষা বড় ঔষধ আর মাধ্যম হলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধান করা, ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমন ঠেকানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষনা করেছে। দেশে যখন করোনা মহামারী আর ভয়াবহ আকার ধারন করেছে তখন এক শ্রেণীর জনসাধারন করোনা কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। এবং মাস্ক পরিধান করছে না। লকডাউন হলো মহামারী করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করার মাধ্যম, কিন্তু বাস্তবতা হলো এক শ্রেণীর জনসাধারন লকডাউন মানছে না, আর লকডাউন না মানা কেবল দেশের আইনের বিরুদ্ধচারন নয়, করোনা ভাইরাসকে স্বাগত জানানো, গত দুই দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা যদি আমাদের ভাল না চাই, আমরা যদি আমাদের মঙ্গল না চাই তাহলে মহামারী করোনা ভাইরাসকে কিভাবে মোকাবিলা করবো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলে আসছে করোনা প্রতিরোধ বিশ্ব বাসিকে যে বিষয়টি বিশেষ ভাবে কার্যকর তা হলো সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই। বিধায় আমরা যে যার অবস্থান থেকে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যেন কোন অবস্থাতেই কৃপনতা না করি। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতায় যে বিষয়টি বারবার আলোচনায় তা হলো আমরা অবশ্যই মহামারী করোনা কে প্রতিরোধ করবো। প্রতিহত করবো, করোনা যেন আমাদেরকে স্পর্শ না করতে পারে, করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময় কে সুসময় আনায়ন করতে হবে।